নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের জন্য ব্যাগিং প্রযুক্তি প্রয়োগের সুবিধা
1. ব্যাগে আমে মাছি, লাল পোকার আক্রমণ সম্পূর্ণভাবে রোধ হয়।
2. ফসলের উপরে বারবার কীটনাশক স্প্রে করার প্রয়োজন পড়ে না।
3. কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারে সাশ্রয়ী সম্ভাবনা তৈরি হয়—ব্যাগিং তুলনায় অনেকটাই কম খরচ।
4. স্প্রে করার পরেও অন্য কোনো পোকামাকড় আক্রমণের ভরসা থাকলেও, ব্যাগিং করলে আম নিয়ে চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
5. আমের খোসায় কোনো কালো বা মরিচা জাতীয় দাগ তৈরি হয় না।
6. স্বচ্ছ বা লাল ব্যাগ ব্যবহার করলে আমের স্বাভাবিক উজ্জ্বল রঙ ফুটে উঠে, চেহারায় আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পায়।
7. ফল সংগ্রহের সময় ফল ফেটে যাওয়া থেকে আমকে সুরক্ষা দেয়।
8. ব্যাগিং করলে প্রতিটি আম প্রায় ২৫–৩০% বড় হয়, ফলে ওজন ও দেহনে উন্নতি হয়।
9. পরিপূর্ণ পাকা আম হয় এবং স্বাদে সতেজ, রসালো হয়।
10. সংগ্রহোত্তর সংরক্ষণকাল দীর্ঘায়িত করে—বাজারে পৌঁছে বিক্রির আগে মান অক্ষুণ্ণ রাখে।
11. কাঠবিড়ালী, বাদুর, পাখি কিংবা অতিরিক্ত সূর্যালোক থেকে আমকে রক্ষা করে।
12. ব্যাগ করা আমের ভেতরের গুণগত মান ও সুগন্ধ অপরিবর্তিত থাকে।
13. একবার ব্যবহৃত ব্যাগ পরবর্তী ১–২ সিজনে পুনরায় কাজে লাগানো যাবে, ফলে অর্থনৈতিক দিকেও কার্যকর।
সর্বোপরি, ফ্রুট ব্যাগিং করে আপনি বাগানে বিষমুক্ত, রোগ–পোকামুক্ত ও আকর্ষণীয় রঙের আম উৎপাদন করতে পারবেন, যা বাজারে উচ্চ মূল্য এনে দেবে।
যাদের ছাদবাগানে বা ছোট আঙ্গিনায় মাত্র এক বা দুইটি আমগাছ আছে, তারাও আমাদের ফ্রুট ব্যাগ যেকোনো পরিমাণে ব্যবহার করে নিজেদের পরিবার ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ আম পেতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.